Tuesday, September 13, 2011

গুগল ‘অ্যানড্রইড’ জাদু


স্মার্টফোনে গুগলের অ্যানড্রইড রাজত্ব এখন প্রতিদ্বন্দ্বী সবগুলো নির্মাতার জন্যই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যথা সামাল দিতে অনেকে আবার আদালতেও ছুটছেন। তবে এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় গুগল। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। কিছুদিন আগে মটোরোলার মবিলিটি স্বত্ত্ব কেনার পর থেকে গুগল স্মার্টফোনের পুরো বিশ্বকে রীতিমতো ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।

এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যানড্রইড’। এটিও গুগল পণ্য। তাৎক্ষণিক গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা আর সহজবোধ্য ব্যবহার গুণে অ্যানড্রইড এখন স্মার্টফোনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। অ্যানড্রইডযুক্ত প্রতিটি পণ্যেই এখন বিক্রি তালিকার শীর্ষে। তাছাড়া অ্যানড্রইড একেবারেই বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ফলে বাড়তি পণ্যব্যয় গুণতে হয় না। অন্যদিকে স্মার্টফোনের দাম ক্রমেই সাধারণ ভোক্তাদের নাগালে চলে আসছে। এর ফলে মাইক্রোসফট এবং ওরাকলের মতো বিশ্বসেরা সফটওয়্যার নির্মাতাদের বাজার জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী। আর স্বল্পমূল্যে অ্যানড্রইড সিস্টেমের জাদুকরী স্পর্শ স্মার্টফোন ভোক্তাদের ক্রমেই অন্য সব অপারেটিং সিস্টেম বিমুখ করে তুলছ।

গুগল সূত্র জানিয়েছে, সাধারণ প্রযুক্তি ভোক্তাদের ব্যবহারযোগ্য মাধ্যম নিয়ে বাণিজ্যিক কৌশলের দিন শেষ হয়ে আসছে। বরং তার মানোন্নয়নে যত বেশি প্রযুক্তি ভোক্তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে, ততই এ জ্ঞানভিত্তিক উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার ভবিষ্যৎ সুদৃঢ় হবে। সুদীর্ঘ সময় (দু’দশক) মাইক্রোসফটের একচেটিয়া ব্যবসায়ীক মনোভাবের কারণে উন্মুক্ত সফটওয়্যার শিল্পের সম্প্রসারণের পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। প্রতিটি সফটওয়্যারের মানোন্নয়নে ভোক্তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকতে হয়। কিন্তু উন্মুক্ত উন্নয়ন (ওপেন সোর্স) সংস্কৃতির কারণে এখন অপারেটিং সিস্টেমের মানোন্নয়নে আগ্রহীরা সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে। এতে প্রযুক্তিশৈলী এবং অবাধ কারিগরি জ্ঞান চর্চার পথ সুগম হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে লাখ লাখ কর্মসংস্থান। এ কারণে গত দু বছরে প্রযুক্তি উদ্ভাবন যতবার তার প্রবৃদ্ধিপথ বদলেছে, ততটা গত এক দশকেও চোখে পড়েনি।

ফলে বিশ্ব দেখেছে একের পর এক উদ্ভাবনী জাদু। উপভোগ করেছে তার স্পর্শ। স্মার্টফোনভিত্তিক টাচস্ক্রিনের (স্পর্শ পর্দা) জাদু এখন তাই প্রযুক্তিভক্তদের নিত্যসঙ্গী। আসছে আরও সব চমকপ্রদ উদ্ভাবনা। তাই তাৎক্ষণিক ব্যবসায়িক লাভবান হওয়ার চিন্তা না করে সুদীর্ঘ স্থায়ীত্বকেই ব্যবসায়ীক মন্ত্র করেছে গুগল। আর গুগলের এ সেবাভিত্তিক চর্চার কারণে প্রযুক্তি বিশ্বের পুরো অবয়বই বদলে গেছে। এ কারণেই ট্যাবলেট পিসি আর স্মার্টফোন হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের জীবননির্বাহী পণ্য।

অ্যামাজনের ই-লাইব্রেরি পরিকল্পনা, আগ্রহী নয় প্রকাশকেরা

একটি ই-লাইব্রেরি স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে অ্যামাজন। এ লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে। খবর রয়টার্সের।
অ্যামাজনের এ সেবা চালু হলে বইপ্রেমীরা তাঁদের ডিজিটাল নোটবুক ও ট্যাবলেট পিসিতে ব্রাউজ করেই বিভিন্ন বই পড়তে পারবেন। এ লক্ষ্যে অ্যামাজন অ্যাপলের আইপ্যাডের অনুরূপ একটি ট্যাবলেট পিসিও বাজারে নিয়ে আসছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, গ্রাহকেরা বার্ষিক একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়েই বিশ্বের বিভিন্ন বই এ পরিষেবার মাধ্যমে সংগ্রহ ও পড়তে পারবেন। তবে অ্যামাজন কবে এ পরিষেবা চালু করবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে বই প্রকাশকেরা অবশ্য অ্যামাজনের এ উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধার মধ্যে রয়েছেন। প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেছেন, অ্যামাজনের এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বইয়ের খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রকাশকেরা এতে সম্পৃক্ত হলে, তাদের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীদের সম্পর্কের অবনতি হবে। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্স অবশ্য অ্যামাজনের কাউকে পায়নি।

কম্পিউটার সিটির যুগপূর্তিতে নানা আয়োজন

তারিখ: ১৩-০৯-২০১১

পরশু ছিল দেশের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার বাজার ঢাকার বিসিএস কম্পিউটার সিটির যুগপূর্তি।এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নানা অনুষ্ঠান।ছয় দিনের এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধনী দিনে বিসিএস কম্পিউটার সিটি সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। সারাক্ষণই সেখানে উ ৎ সব ভাব বিরাজ করছিল। সকালে বিসিএস কম্পিউটার সিটি প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে কম্পিউটার সিটিতে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
সন্ধ্যায় বিগত বছরগুলোর স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিএস কম্পিউটার সিটির সভাপতি এ টি শফিক উদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এই কম্পিউটার বাজার সফলতার সঙ্গে এক যুগ অতিক্রম করতে পেরেছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, কম্পিউটার সমিতি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে, কখনো দ্বিধাবিভক্ত হয়নি। তিনি আরও জানান, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী বাধ্যতামূলকভাবে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
বক্তাদের বক্তব্যের ফাঁকে বিসিএস কম্পিউটার সিটি তৈরির সাত স্বপ্নদ্রষ্টার ওপর একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এরপর বিসিএস কম্পিউটার সিটির পক্ষ থেকে তাঁদের সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম। ত ৎ কালীন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হাসান অন্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে স্মতিচারণকরেন।বিসিএস কম্পিউটার সিটির যুগপূর্তি অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক কম্পিউটার সোর্স।যুগপূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান পণ্যে ছাড় ও উপহারও দিচ্ছে।

Monday, September 12, 2011

Why We Need Windows 8 Tablets

Why We Need Windows 8 Tablets



Interoperability: It's a big word that describes an even bigger problem--namely, that of the compatibility of your apps and data between different devices. And while the mobile worlds of Google's Android and Apple's iOS have come a long way, nothing compares to the complete end-to-end compatibility offered by a Windows computer. The issues that a Windows 8 tablet could address are the twin troubles of file handling and app compatibility--two things that remain troublesome thorns in the sides of both Android and iOS.

The File Conundrum

These past months I've spent using the myriad of Google's Android Honeycomb tablets as well as Apple's iOS-based iPad 2 have been an eye-opener. The two platforms inherently work very differently: Apple has its alternately maligned and beloved "walled garden" approach, while Google is more open, but wracked by inconsistencies, so that one tablet supports certain file types and another doesn't, and it's not clear to a user why this is so.
(The answer, simply, is that some tablet makers add file-type support on their own, to support basics like WMV, AVI, and PDF that Google doesn't natively support. But this support is generally through the inclusion of separate software added to Android's base install, and the implementation of file support doesn't appear fundamentally any different from stock Google...which makes it hard to be clear that this is a differentiation from one tablet to the next.)
At least Android provides a file system that users can access--even if it's a mess with haphazard folder nomenclature and requires third-party software to tap into it. Google admits it never intended for Android's file system to be accessed and used as Windows Explorer is, but the reality is that tablet makers and file manager app developers are embracing the fact that this feature exists in Android. It's nowhere in iOS; there, you have to rely on a developer to provide support for iOS's "Open in" option, something I've seen inconsistently implemented. And even then, file handling gets kludgy and awkward, a sad reality given the overall simple elegance of Apple's platform. Files get locked into the app you're using, and need to be associated with that app--a counterintuitive experience that is opposite what consumers are used to in the desktop universe so many of us rely on.

It's About Files...and About Apps

In reality, for most of us, a Windows computer is already part of our lives. And in going between a laptop or desktop and an iOS device or an Android device, one can run into all sorts of issues and incompatibilities. Not to mention the specific issue of app compatibility.
App compatibility goes both ways. Let's face it: All the cool, new software development has been for mobile devices. And I've often wished that a cool app I'm using on a mobile device could be used on my laptop, too. And maybe that I could manipulate or share the data on the mobile with the desktop (and do so in a way that doesn't rely only on the cloud).
Likewise, apps aplenty on the PC could benefit from being on a tablet, but right now, they won't run there. Heck, they're designed for a whole other operating system than what we're using on our tablets today.
The exception: Tablets like Fujitsu's Stylistic Q550. This Windows 7 tablet quietly shipped this summer, with a clear aim at vertical markets and corporate use. Why? Because those markets already have custom apps designed for use on laptops that could translate well to a tablet--but those markets need the platform stability and compatibility that Windows 7 already provides.
Today's Windows tablets try hard (besides Fujitsu, Motion Computing and Viewsonic are among the few manufacturers with such products), but they can't make up for the inherent weaknesses of, not the hardware, but--yes--Microsoft Windows. It's been nearly a decade since Microsoft broadly touted the idea of a "tablet PC," and the company is only just on the cusp of introducing a touch-friendly interface--one that won't be introduced until we get Windows 8.

The Benefits of Unity

Corporate IT isn't the only arena that will benefit from a Windows-based tablet, though. Consumers will reap the benefits of unity, too.
With Windows 8 and a bona fide touch-optimized operating system, the Windows platform--along with the apps that will inevitably be developed for it--has the potential to compete with the established mobile operating systems, and better unify how we do things across our different devices. At that point, it's no longer a question of whether an app will work on the OS, but instead a question of whether an app will run on everything from an ARM chip on up to a quad-core CPU. Hardware guts will matter, and developers will have to figure out ways to elegantly bridge the different hardware requirements, but in an ideal world, the potential for unity is high. Right now, not even Apple has unity; its highly successful iOS apps run only on iOS devices, leaving Mac OS X users in the dark.
Imagine for a moment the popularity boost the Mac would get if it supported the vast selection of software present in the iOS universe. Now transfer that theoretical possibility to the Windows tablet-laptop-PC ecosystem. It may not be as far-fetched as it sounds. Let's just hope that Microsoft, and the Windows 8 app developers, can take full advantage of this potential, and find ways to make it work.

ছোটো ভুলে বড়ো বিপত্তি!

ছোটো ভুলে বড়ো বিপত্তি!

সম্প্রতি কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস-এর গবেষকরা বলছেন, ইন্টারনেট দুনিয়ায় সামান্য বানান ভুলেও বড়ো সড়ো বিপত্তি ঘটতে পারে। ইন্টারনেটে ঠিকানা লেখার সময় সামান্য একটি ডট ভুল হলেও তথ্য ভুল ঠিকানায় চলে যেতে পারে। আর এমন সুযোগ হাতিয়ে নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা। খবর বিবিসি অনলাইন-এর।

গবেষকরা জানিয়েছেন, মেইল অ্যাড্রেস টাইপ করার সময় ডট দিতে ভুলে গেলে বা সামান্য হেরফের হলেও সে তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে পৌঁছে যাবার আশংকা রয়েছে। যেসব বানান প্রায়ই ভুল হয় এমন ওয়েব ডোমেইন তৈরি করে গবেষকরা দেখেছেন অনেক তথ্যই ভুল ঠিকানায় এসে জমা হয়েছে।

গবেষকরা মাত্র ৬ মাসে ২০ গিগাবাইটেরও বেশি ডেটা ভুল সাইটে পাঠানো ওয়েব ঠিকানা থেকে উদ্ধার করতে পেরেছেন। এ ছয় মাসে ১ লাখ ২০ হাজার মেসেজ তারা ভুল ঠিকানায় পেয়েছেন।

বিভিন্ন ডোমেইন এবং সাবডোমেইন নামের মধ্যে যে ডটগুলো ব্যবহৃত হয় সেগুলো প্রায়ই ভুল হয়। আর এমন ভুলের কারণেও বড়ো ক্ষতির আশংকা তৈরি হচ্ছে।

ছোটোখাটো এসব ভুল করা থেকে তাই সতর্ক হবার পরামর্শ দিয়েছেন কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস-এর বিশেষজ্ঞরা।

জড়িয়ে ধরবে, চুমু দেবে মোবাইল

জড়িয়ে ধরবে, চুমু দেবে মোবাইল

সম্প্রতি জার্মানির গবেষকরা দাবি করেছেন, তারা ‘কিসিং মোবাইল’ বা ‘চুমু ফোন’সহ অনুভূতিবাহক একাধিক ফোন তৈরি করেছেন। গবেষকদের দাবি, নতুন এই মোবাইল ফোন যে কোনো অনুভূতি এবং চুমুর মতো স্পর্শকাতর অনুভূতিও সঞ্চার করতে পারে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।

কিসিং মোবাইলসহ অনুভূতিবাহক মোবাইল সিরিজের প্রটোটাইপ তৈরি করেছেন বার্লিন ইউনিভার্সিটি অফ দ্যা আর্টস-এর গবেষক ফ্যাবিয়ান হেমার্ট।

ফ্যাবিয়ান হেমার্টের দাবি, ‘অনুভূতিবাহক মোবাইলগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসসহ চুমুর অনুভূতি বিনিময় করতে পারে।’

গবেষক হেমার্ট কিসিং মোবাইল ফোন তৈরি প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আমাদের অনুভূতি ক্ষমতার ক্ষুদ্র অংশ ব্যবহার করতে পারে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন টেক্সট, ভিডিও এবং কথার মতো তথ্য প্রেরণের জন্য মোবাইল দক্ষ মাধ্যম হলেও আমাদের মধ্যে এটি প্রিয়জনের সান্নিধ্য এনে দিতে পারে না।’

আঁকড়ে ধরা বা জড়িয়ে ধরার অনুভূতি তৈরি করতে সক্ষম এমন মোবাইলের দুই পাশে ব্যবহৃত হয়েছে ফোর্স সেন্সর এবং হাতের ওপরে ব্যবহারের জন্য একটি কোমল ফিতা। যখন এ ফোনটি ব্যবহার করা হবে তখন ফোনে ব্যবহৃত একটি মোটর ফিতাটিকে শক্ত করে আটকে ধরে জড়িয়ে ধরার অনুভুতি এনে দিতে পারে।

প্রিয়জনের শ্বাস নেবার অনুভ’তি এনে দিতে পারে এমন প্রটোটাইপ মোবাইল ফোনে রয়েছে  প্রেসার সেন্সর এবং জেট সেন্সর। কথা বলার সময় বাতাসের নড়াচড়া বা স্পর্শ করার মতো অনুভূতিগুলো এসব সেন্সর সঞ্চারিত করতে পারে।

কিসিং প্রটোটাইপ বা চুমু ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ময়েশ্চার সেন্সর এবং মটোরাইজড ওয়েট স্পঞ্জ। যখন কোনো ফোন থেকে চুমু দেয়া হয় তখন অন্যপ্রান্তে একই রকম মেমব্রেন চুমুর অনুভূতি এনে দেবে। এক্ষেত্রে যতোখানি গাঢ় হবে ততোই বেশি অনুভূতি সঞ্চার করবে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে কেমন যোগাযোগ পদ্ধতি চাই সে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।’

আইসক্রিম স্যান্ডউইচের পর আসছে 'জেলি বিন'

সার্চ জায়ান্ট গুগলের তৈরি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন আরেকটি সংস্করণ আসছে বলেই খবর চাউর হয়েছে। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে গুগলের আইসক্রিম স্যান্ডউইচ অপারেটিং সিস্টেমটি বাজারে আসার কথা রয়েছে। খবর টেক ক্রাঞ্চ-এর।

জানা গেছে, অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করতে, আইপ্যাড ৩ যখন বাজারে আসবে তখনই নতুন অপারেটিং সিস্টেম আনবে গুগল।

বর্তমানে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জিঞ্জারব্রেড এবং হানিকম্ব সংস্করণের অনেক ডিভাইস বাজারে রয়েছে। গুগলের পরবর্তী সংস্করণটির নাম হবে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ। আর আইসক্রিম স্যান্ডউইচের পর অ্যান্ড্রয়েডের পরবর্তী সংস্করণটির নাম হতে পারে ‘জেলি বিন’।

সার্চ জায়ান্ট গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ শিগগিরই চলে আসছে বলে জানিয়েছেন গুগল-এর এক্সিকিউটিভ চেয়্যারম্যান এরিক স্মিড। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ নামের নতুন এ অপারেটিং সিস্টেম চলতি বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাস নাগাদ বাজারে আনতে পারে গুগল।

সম্প্রতি স্যান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ‘ড্রিমফোর্স’ নামের ক্লাউড কম্পিউটিং কনফারেন্সে হাজির হয়েছিলেন গুগলের সাবেক সিইও এবং বর্তমানে এক্সিকিউটিভ চেয়্যারম্যান পদে থাকা এরিক স্মিড। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ কবে নাগাদ বাজারে আসবে সে তথ্যটি এ অনুষ্ঠানে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলে ফেলেছেন। কিন্তু আইসক্রিম স্যান্ডউইচ বাজারে আসার আগেই তারও পরবর্তী সংস্করণের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে।

এদিকে খবর চাউর হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েডের প্রতিদ্বন্দী অ্যাপল আইওএস ৫ অপারেটিং সিস্টেমটি অক্টোবরে বাজারে আসতে পারে। আর অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করতেই একই সময়ে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ বাজারে আনার কথা ভাবছে গুগল। অ্যাপলের আইপ্যাড ৩ বাজারে আনার সময় ‘জেলি বিন’ অপারেটিং সিস্টেমটি বাজারে আনার কথা ভাবছে গুগল কর্তৃপক্ষ।

অ্যাপল থেকে অবসরে গেলেন স্টিভ জবস


টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্টিভ জবস। ২৪ আগস্ট বুধবার তিনি অ্যাপলের সিইও পদটি ছেড়ে দেবার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পদ ছেড়ে দেওয়ায় অ্যাপল সিইও পদের দায়িত্ব পেয়েছেন চিফ অপারেটিং অফিসার টিম কুক।  স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে নিজ হাতে গড়া ওই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদটি ত্যাগ করেছেন বলেই জানা গেছে। গ্যারেজ থেকে শুরু হওয়া অ্যাপল এখন বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি কোম্পানি। বলা হচ্ছে, অ্যাপলের কোষাগারে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরও নেই। কিন্তু সাফল্যের এ চূড়ায় উঠতে অ্যাপলকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে।  আর এ পথের কাণ্ডারি ছিলেন স্টিভ। তবে, স্টিভ জবসের সরে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে বলেই খবর চাউর হয়েছে।

সম্প্রতি খবর রটেছিলো, অ্যাপলের বোর্ড মেম্বাররা রুদ্ধদ্বার এক বৈঠকে বসেছিলেন। সে সভাতেই স্টিভ জবসকে সরিয়ে দেবার পরিকল্পনা আঁটা হয়েছিলো। অবশ্য, একথা নিজেও জানতেন স্টিভ জবস। তার নিজেরও ইচ্ছা ছিলো, সরে দাঁড়ানোর। তাই ২৪ আগস্টকেই বেছে নিলেন পদ ছাড়ার তারিখ হিসেবে।

কিছুদিন ধরেই স্টিভ জবস টের পাচ্ছিলেন শরীর ঠিক তার কথা শুনছে না। খবর রটেছিলো, স্টিভ জবসের আয়ু ফুরিয়ে আসছে। অনেক বিশেষজ্ঞ তো তার ছবি দেখেই বলে দিয়েছিলেন, আর মাত্র কয়দিন স্টিভ জবস! তবে, সেসব তোয়াক্কা না করেই তিনি অ্যাপল সামলেছিলেন। তবে, তিনি নিজেকে বিশ্রাম দিতে মেডিকেল লিভ নিয়েছিলেন তিনবার।


স্টিভ জবসের নিন্দুকেরও অভাব ঘটেনি। অনেকেই স্টিভ জবসকে মনে করেন ‘একনায়ক, যিনি কোম্পানি চালান নিজের হাতে।’ ক্যান্টিনের খাবারের মেনু থেকে অ্যাপল পণ্যের বিকিকিনি কোনটাই তার নজর এড়িয়ে যায় না। পান থেকে চুন খসলেই স্টিভের এক মুহূর্ত লাগে না কঠিনতম সিদ্ধান্তটি নিতে।’

স্টিভের জীবন কেমন ছিলো, কেমনই বা ছিলো আচরণ, ব্যক্তিগত মতাদর্শ এমন অজানা অনেক কথা নিয়েই বিখ্যাত জীবনীকার ওয়াল্টার আইজ্যাকসনকে একটি বায়োগ্রাফি লেখার অনুমতি দিয়েছিলেন স্টিভ। সে বায়োগ্রাফি অক্টোবর ১৫ তারিখেই বাজারে চলে আসবে। সম্ভবত এ বায়োগ্রাফিটিতে ব্যক্তি স্টিভকে পাওয়া যাবে অনেকটাই।

স্টিভ জবস অ্যাপল হেডকোয়ার্টারকে নতুন করে দেখতে চেয়েছেন। সেজন্যই সম্প্রতি স্পেসশিপ আকারের হেডকোয়ার্টার তৈরির কাজে হাত দিয়েছে অ্যাপল। কুপারটিনোর এ হেডকোয়ার্টার দেখে মনে হবে আকাশ থেকে কোনো মাদারশিপ যেনো নেমে এসেছে! আর এটা দেখে অ্যাপলের ‘ভবিষৎদ্রষ্টা’ স্টিভকেই যেনো মনে রাখে বিশ্ববাসী।

অ্যাপল পণ্যের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য দাঁড় করাতে পেরেছেন স্টিভ জবস। অ্যাপলের প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে একটা করে ইংরেজি ছোট হাতের ‘আই’ দিয়েই শুরু করার প্রচলন টা তারই। যেমন, আইপড, আইফোন, আইম্যাক। এ ধারায় তার বায়োগ্রাফিটিরও নাম হতে যাচ্ছিল ‘আইস্টিভ: দ্য বুক অফ জবস’। তবে, শেষমেশ, লেখক আইজ্যাকসন তার স্ত্রী-কন্যার অনুরোধে সহজ নাম ‘স্টিভন জবস’ রেখেছেন’।


ব্লু জিনস, টার্টলনেক ফুল হাতা কালো টিশার্ট আর কেডস পরিহিত স্টিভ মানেই আইকনিক অ্যাপল আর সাফল্যের প্রতিমূর্তি। তবে, স্টিভের সাফল্য একবারে আসেনি। তাকেও পার হতে হয়েছে চড়াই উৎরাই। ইনটেলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক মিলে যে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাকে নানা চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে, ঘটেছে নানা ঘটনা। কর্পোরেট ক্যু-র মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসকে অ্যাপল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিলো। এরপর প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের দায়ে ডুবতে বসেছিলো। কিন্তু ১৯৯৭ সালে স্টিভ জবস আবার ফিরে অ্যাপলকে দাঁড় করান।

২০০১ সালে স্টিভ জবস প্রতিষ্ঠানটির পণ্য পরিকল্পনায় ব্যপক পরিবর্তন আনেন এবং প্রতিষ্ঠানটি কম্পিউটারের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি করতে শুরু করে। এই সিরিজের প্রথম পণ্য ছিলো গান শোনার যন্ত্র আইপড। এরপর পণ্য তালিকায় যোগ হয় আইফোন।

মূলত কম্পিউটারের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক পণ্যের সাফল্যের সঙ্গেসঙ্গেই শুরু হয় অ্যাপলের জয়যাত্রা। পাশাপাশি স্টিভ জবসের নেতৃত্বেই দূরদর্শী কম্পিউটিং পণ্য হিসেবে যোগ হয় পাওয়ার ম্যাক, আইম্যাক, ম্যাকবুক, এবং সর্বশেষ যোগ হয় বাজার-ছাপানো আইপ্যাড।

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যগত কারণে দ্বিতীয় বারের মতো ছুটিতে যান ৫৬ বছর বয়সী স্টিভ। তিনি অর্নিদিষ্ট কালের জন্য ছুটি চেয়েছিলেন। তবে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন  কারণেই সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি। তিনি আইপ্যাড ২ বাজারে আনার সময় ছুটি ভেঙ্গে চলে এসেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ছুটিতে থাকলেও অ্যাপলের সব খুঁটিনাটিই খেয়াল করতেন। বিশেষজ্ঞরা তার বিষয়ে বলেন, ‘কাজের লোক, যে কিনা কাজ ছাড়া থাকতে পারে না।’

পদত্যাগপত্র
২৪ আগস্ট অবসরে যাওয়া স্টিভ জবস অ্যাপল বোর্ড বরাবর পাঠানো সংক্ষিপ্ত একটি চিঠিতে জবস লিখেছেন, ‘আমি সবসময়ই বলেছি, যদি এমন কোনোদিন আসে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব ও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছি না, তবে আমিই সেটি প্রথম জানাবো। অপ্রত্যাশিতভাবে সেই দিনটি এসেছে। আমি অ্যাপলের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

জবস চিঠিতে আরো লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি অ্যাপলের উজ্জ্বলতম এবং উদ্ভাবনী সময় সামনেই এবং আমি আগামী সময়ের দিকে তাকিয়ে আছি যেখানে নতুন কোনো ভূমিকায় আমি এর সাফল্যে অবদান রাখতে পারবো।’

চিঠিতে জবস সব সহকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ফলে স্টিভ জবসের পাকস্থলী প্রতিস্থাপন করতে হয়। সৃজনশীলতা ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জবসের অসামান্য দক্ষতার কারণে অ্যাপল বিশ্বের অন্যতম প্রধান কম্পিউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ক্রমে অ্যাপল ও স্টিভ জবস সমার্থক হয়ে ওঠে।

২০০৪ সালের অগাস্টে স্টিভ জবসের শরীরে এই বিরল ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাকে ক্যান্সারআক্রান্ত টিউমার অপসারণ করতে হয়। ২০০৯ সালে জবসকে পাকস্থলী প্রতিস্থাপন করতে হয়। এরজন্য তিনি প্রায় দুই মাস ছুটিতে ছিলেন।

সর্বশেষ ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ছুটি নেন তিনি। এরপর ছুটিতে থাকা অবস্থাতেই ২৪ আগস্ট বুধবার তিনি অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ ত্যাগের ঘোষণা দেন।

প্রোফাইল
স্টিভেন পল জবস ১৯৫৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি  জন্মগ্রহণ করেন।  স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন মিলে ১৯৭০ সালে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি পিক্সার স্টুডিও এবং নেক্সট নামে আরো দুটি সফল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

জবস জন্মেছিলেন স্যান ফ্রান্সিস্কোতে। কিন্তু সুখকর ছিলো না তার ছোটোবেলা। জন্মের পরপরই তাকে দত্তক দিয়ে দেয়া হয়। পল ও ক্লারা জবস দম্পত্তি তাকে দত্তক নেন। তার নাম রাখা হয় স্টিভেন পল জবস। সামান্য ভালো খাবারের জন্য তাকে পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু তার প্রকৃত পিতা মাতা ছিলেন জোয়ন ক্যারোল এবং আব্দুল্লাহ ফাতাহ জান্দালি (সিরিয়া থেকে স্নাতোকোত্তর, পরবর্তীতে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েছিলেন)।

জবস কুপারটিনো জুনিয়র হাই স্কুলে এবং হোমস্টিড হাই স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি প্রায়ই হিউলেট-প্যাকার্ড কোম্পানিতে লেকচারগুলোতে অংশগ্রহণ করতেন। যেখানে পরবর্তীতে তিনি গ্রীষ্মকালীন কর্মচারী হিসাবে স্টিভ ওজনিয়াকের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি হাইস্কুল শেষ করেন এবং রিড কলেজে ভর্তি হন। যদিও তিনি পরবর্তীতে কলেজ ছেড়ে দেন তার পরেও তিনি ক্যালিওগ্রাফী সহ আরো কিছু ক্লাশে যোগদান করেছিলেন। এরপরই ১৯৭৬ সালে ওজনিয়াকের সঙ্গে বাড়ির গ্যারেজে প্রতিষ্ঠা করেন ছোট্ট প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। আর তাদের অ্যাপল ১ দিয়েই শুরু হয় যাত্রা। এরপর একে একে স্টিভ জবসের হাত ধরে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তির অনেক পণ্যই।

অ্যাপল-এর আগামীর পণ্য
স্টিভ জবস অবসরের ঘোষণা দেবার আগেই অ্যাপলকে বিশ্বের এক নম্বর কোম্পানি হিসেবে দাঁড় করিয়ে গেছেন। এখন বিশ্বের স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট বাজারে শীর্ষস্থানটিও অ্যাপলেরই। সম্প্রতি অ্যাপল নিজস্ব অপারেটিং সিস্টম ম্যাক ওএস এক্স লায়ন বাজারে এনেছে। আরও এনেছে, ম্যাকবুক এয়ার, ম্যাক মিনিসহ পাতলা ডিভাইস সংস্করণ। বাজারে আসার কথা রয়েছে আইফোন ৫ এবং আইফোন ৪ এর কমদামী সংস্করণ। আইপ্যাড ৩ বা আইপ্যাড এইচডি ঘিরেও রয়েছে প্রযুক্তিবিশ্বে অনেক উৎসাহ। এ ছাড়াও নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং পেটেন্ট করতেও অ্যাপল পিছিয়ে নেই। খবর রটেছে, নকিয়া কোম্পানি কিনে নেবার কথাও ভাবছে অ্যাপল। অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দী হিসেবে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তবে, সার্চ জায়ান্ট গুগলই তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দী হতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।

অবশ্য, অ্যাপল তাদের প্রযুক্তি নকল করছে বলেই অন্যান্য টেক জায়ান্টদের বিরুদ্ধে মামলা করতেও ছাড়েনি। স্যামসাং, নকিয়া, মটোরোলা সব প্রতিষ্ঠানই ভুগেছে অ্যাপলের মামলায়। তবে, অ্যাপল সহজে কারো কাছে হেরে বসে নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘অ্যাপলের সাফল্য এসেছে স্টিভের নীতিতেই।’।

জবস শুন্য অ্যাপল: অ্যাপলের ভবিষ্যৎ কী?
অ্যাপলকে এক নম্বর স্থানে দাঁড় করিয়ে পদ ছাড়লেন স্টিভ। খবর রটেছে, ‘কিছুটা হলেও অসন্তুষ্টি রয়েছে স্টিভের মনে। কারণ শেষপর্যন্ত বোর্ড মেম্বাররা আর নাকি তাকে চাইছিলেন না।’ কিন্তু নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে অ্যাপল ছেড়ে দেবার ফলে অ্যাপলের বর্তমান সিইও টিম কুকের ওপর প্রত্যাশার চাপ বেড়ে যাবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। টিম কুক কতোটা স্টিভের উত্তরসূরী হতে পারবেন সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে, টিম কুকও দীর্ঘদিন স্টিভের সংস্পর্শে থেকেছেন। স্টিভের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি হয়তো স্টিভের মতো না হলেও ঠিকই অ্যাপলকে সামলে রাখবেন বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

টিম কুক
অ্যালকোহল যিনি বেশি পান করেন তাকে অ্যালকোহলিক বলা হয়। আর যিনি বেশি কাজ বা ওয়ার্ক করেন তাকে বলা হয় ওয়ার্ককোহলিক। ওয়ার্ককোহলিক শব্দটা মানায় টিম কুকের সঙ্গে। তিনিই আপাতত স্টিভের বদলে অ্যাপলের কাণ্ডারি।